কিরা কাটানোর মন্ত্র

প্রদেয় প্রতিজ্ঞাটি যেন খাটে, বাস্তবায়িত হয় তার জন্য কিরা কাটা হয়। 'অমুকের কিরা কাজটি আমি করে দেব'- বললে তার (কাজটি) প্রতি দায়বদ্ধতা এসে যায়। অনেক সময় অন্যের ক্ষতি করার জন্য, অমঙ্গল কামনার জন্যও কিরা কাটা হয়। 'অমুকের কিরা তোর সন্তান মরবে'- এভাবে বলে শক্রুর বিপদ কামনা করা হয়। বিপক্ষ যদি ভয় না পায়, বক্তার বাধ্য না হয়, সমান শক্তিধর হয়, তাহলে কথাটাকে তাচ্ছিল্য করতে পারেন। 'শকুনের দোয়ায় গরু মরেনা' বলে অমঙ্গল আশঙ্কাকে দূর করা যায়। কিন্তু তারপরও যদি বাস্তবায়িত হয়। তখন নোংরা শব্দের শক্তিকে ভেঙ্গে ফেলবার প্রয়োজন হয়। সেজন্য দরকার পরে আর এক রকমের কিরা'র। উল্টো কিরা কেটে প্রতিপক্ষের কিরাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা যায়। এর নাম কিরা কাটানোর মন্ত্র। রাজশাহী অঞ্চলে ব্যবহৃত হয় এরকমের একটি কিরা কাটান দেওয়ার মন্ত্র:
এপারে কলাগাছ, ওপারে কলাগাছ,
তোর কিরা কাটল ঘসাঘস।
কড়া পাইলের হাইস্যা,
গেল তোর কিরা ফাস্যা।
ঠিলির উপর ঠিলি,
তোর কির‌্যা গিলি।।
এই মন্ত্রটিও আশরাফ সিদ্দিকী রচিত লোকসাহিত্য গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

বই আলোচনা সমালোচনা

সাহিত্যের Webzine