খনা কৃষক ও গ্রহনক্ষত্র বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। তার বচনগুলির বেশিরভাগ কৃষিকাজ ও ভাগ্যগণনা সম্পর্কিত। কিন্তু ডাকের বচন কিছুটা ভিন্নরকম। এখানে মানব-চরিত্রের বিভিন্ন দিককে কখনও নির্মোহ কখনও বা সরাসরি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মানবজীবনের সারাৎসার ডাকের বচনগুলির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। ধারণা করা হয় এই ডাকের বচনগুলি ৮০০-১২০০ খৃস্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়েছিল।
ডাকের বচনের কয়েকটি উদাহরণ:-
ক) ঘরে আখা বাইরে রাঁধে।
অল্প কেশ ফুলাইয়া বাঁধে।।
ঘন ঘন চায় উলটি ঘাড়।
ডাক বলে এ নারী ঘর উজার।।
খ) নিয়ড় পোখরি দূরে যায়।
পথিক দেখিয়ে আউড়ে চায়।।
পর সম্ভাষে বাটে থিকে।
ডাক বলে এ নারী ঘরে না টিকে।।
গ) রাঁধে বাড়ে গায় না লাগে কাতি।
অতিথি দেখিয়া মরে লাজে।
তবু তার পূজার সাজে।।
সুশীলা শুদ্ধ বংশে উৎপত্তি।
মিঠা বোল স্বামীতে ভকতি।।
রৌদ্রে কাঁটা কুঁটায় রাঁধে।
খড়কাট বর্ষাকে বাঁধে।।
কাখে কলসী পানীকে যায়।
হেটমুণ্ডে কাকহো না চায়।।
যেন যায় তেন আইসে
বলে ডাক গৃহিণী সেই সে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন