এসো হে বৈশাখ
এসো এসো
শুভ নববর্ষ
১৪১৫ সাল সকলের জন্য বয়ে আনুক সুখ ও সমৃদ্ধি। নতুন বাংলা বৎসরের এই শুভ দিনে জন্ম হল 'বাংলা সাহিত্য' নামাঙ্কিত ব্লগ। এ প্রসঙ্গে আমার অবতরণিকাটি নিম্নে লিখিত হল।
জনসংখ্যাধিক্যে বাঙালি বিশ্বের মানচিত্রে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছে। বিশ্বের ইতিহাসে বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিতে দ্বিধা করেনি। বাঙালি যৌবনের এ অমর আত্মত্যাগ ভাষার সভায় বাংলা ভাষাকে দিয়েছে এক সুমহান মর্যাদা।
খ্রিষ্টিয় নবম (মতান্তরে দ্বাদশ) শতকে কাহ্নপাদ, সরহপাদ প্রমুখের হাতে এ ভাষার জন্মবার্তা ঘোষিত হয়। কৃত্তিবাস, চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, গোবিন্দদাস প্রমুখের প্রচ্ছয়ে এ ভাষা অতিক্রম করে তার বিক্ষুব্ধ কৈশোরকাল। কবি মধুসূদন দত্তের আলোকস্পর্শে বাংলা ভাষার শরীরে জেগে ওঠে তারুণ্যের উন্মাদনা। বিশ্বকবি তাকে করে তোলেন পরিমার্জিত, পরিশীলিত।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে প্রমিত রূপ ধারণ করেছে, লাভ করেছে একটি সুস্থিত গতি। ভোরের পাখি ঈশ্বর গুপ্ত যে নবদিনের জন্মকালকে আবাহন করেছিলেন তার বয়স দ্বিশত শতাব্দী হতে চলেছে।
বাংলা ভাষাকে আশ্রয় করে জন্ম হয়েছে স্বাধীন দেশ বাংলাদেশের, পেয়েছে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মাতৃভাষা দিবসের চেতনা বাংলা ভাষাকে করে তুলেছে সর্বজনীন, বৈশ্বিক।
বাংলা সাহিত্যের পরিচিতি ও আলোচনা এই ব্লগের প্রধান উদ্দেশ্য।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের নন্দনতত্ত্ব: নান্দনিক নৈরাজ্যের অক্ষ(র)রেখা? - রাজু
আলাউদ্দিন
-
[image: সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের 'নন্দনতত্ত্ব' বইয়ের প্রচ্ছদ]
বাংলাদেশে কলাবিদ্যা নিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের *নন্দনতত্ত্ব* বইটি ছিল প্রথম
কোনো গ্রন্থ যেখানে ছ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন